Thursday, 12 September 2019

Which is important for u money ,or love ?


আপনার কাছে ভালবাসা নাকি অর্থ অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন?

19টি উত্তর
শ্রেয়সী (Shreyasee Gupta)
শ্রেয়সী (Shreyasee Gupta), পেশায় ব্যাংক আধিকারিক, নেশা - বই, খাওয়া দাওয়া , আর ঘুম।

সাকলাইন মোস্তাক (Sakline Mostak)
সাকলাইন মোস্তাক (Sakline Mostak), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ইংরেজি ভাষা নিয়ে পড়াশুনা করছেন (2022)

Debakor Nath
Debakor Nath, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ/তে মূলধন যোগান ও মানব সম্পদ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন (2014)

Iftekhar Chowdhury
Iftekhar chowdhury ,

Wednesday, 11 September 2019

how to always happy,smile

Iftekhar Chowdhury

Tuesday, 10 September 2019

বৈবাহিক সম্পর্কে কীভাবে অন্তরঙ্গতা বাড়াবেন?

অন্তরঙ্গতা– দুজন মানুষের বৈবাহিক জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিয়ের আগে যখন দুজন মানুষের পরিচয়ও হয়নি, তখন বিয়ে ও বৈবাহিক পরবর্তী জীবন নিয়ে তাদের দুজনেরই থাকে নানা প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু যেটা ভাবনার বিষয় সেটা হল, দুজনই তাদের বিয়ে ও বৈবাহিক পরবর্তী জীবন নিয়ে অনেক কিছু ভেবে থাকলেও তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়। তাই বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা ও অন্তরঙ্গতার জায়গায় ঢুকে পড়তে পারে মানসিক দূরত্ব। কীভাবে সম্পর্কের মাঝে ভালবাসা ও অন্তরঙ্গতাকে আরও দৃঢ় করা যায়, সেটা নিয়েই আজ আলোচনা করব।
স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে তিন ধরনের অন্তরঙ্গতা থাকে- আবেগিক অথবা মানসিক, আধ্যাত্মিক ও শারীরিক, যেগুলোর প্রত্যেকটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তিন ক্ষেত্রের যে কোনটিতেই পরস্পর অনরঙ্গতা ধরে রাখা কঠিন, যদি না তাদের সম্পর্কের মাঝে সঠিক আবহ বজায় রাখা যায়।
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অন্তরঙ্গতা ধরে রাখার জন্য পাঁচটী বিষয়ের দিকে গভীরভাবে দৃষ্টি দিতে হবে-

১। পারস্পরিক আবদ্ধ থাকার অঙ্গীকারঃ স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যেই এমন একটা অনুভূতি কাজ করা জরুরি যে, তারা দুজনই সত্যিকার অর্থে পারস্পরিক অঙ্গীকারবদ্ধ। যদি এমনটা হয় শুধুমাত্র তখনই দুটি ভিন্ন জগতের মানুষ নিজের ভেতরের মানুষটিকে তার সঙ্গীর সামনে পুরোপুরি তুলে ধরতে সংকোচ করবে না। দুজনের একজনও যদি নিজেকে তার সঙ্গীর সামনে তুলে ধরতে সংকোচ করে, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনোই সত্যিকারের অন্তরঙ্গতা গড়ে উঠবে না।
২। পর্যাপ্ত সময় ও সম্পর্কের মাঝে সঠিক গতিঃ স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যে পারস্পরিক পর্যাপ্ত ও নিরবিচ্ছিন সময় কাটানোর সুযোগ থাকতে হবে। নিজের সঙ্গীর কাছে নিজের আশা-আকাংক্ষা তুলে ধরা ও সঙ্গীর আশা-আকাংক্ষাও নিজে বুঝতে পারা- এ দুটি বিষয়ের জন্যই কিছুটা সময় নেওয়া উচিত। সত্যিকারের অন্তরঙ্গা গড়ে ওঠার জন্য মূল চাবি-কাঠি হল সময়। আপনার সঙ্গীর জন্য যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত সময় না থাকে, তাহলে কীভাবে আপনি পরস্পর কাছে আসার আশা করতে পারেন? ধীর গতি ও পর্যাপ্ত সময়-এ দুটোই সত্যিকারের পারস্পরিক অন্তরঙ্গতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
৩। গোপনীয়তা ও সীমানাঃ স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই নিজের সাথে অন্য লিঙ্গের কারও এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের মাঝে একটা ব্যবধান বা সীমানা গড়ে তোলা উচিত, যেন তারা খোলা মনে পরস্পরের সাথে মিশতে পারে এবং তাদের মাঝে একটা দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী দুজনের কারও নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সম্পর্কের বাইরের কারও সাথে আলোচনা করা উচিত না, যাতে নিজের সঙ্গীর বিশ্বাস ভাঙ্গে। বিশ্বাস ছাড়া কখনই পরস্পর কাছাকাছি আসা সম্ভব না।
৪। ঝুঁকিঃ জীবনের আর কোন ক্ষেত্রেই পারস্পরিক কাছে আসা ও অন্তরঙ্গ হওয়ার থেকে বড় ঝুঁকি নিতে হয় না। পারস্পরিক অনরঙ্গতার ক্ষেত্রে দুজনকেই খোলামেলা ভাবে পরস্পরের সামনে নিজেকে তুলে ধরত হয়, যেটা প্রকৃত অর্থেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু যেহেতু এই সম্পর্কের মাঝে দুই জনই ধীরে ধীরে পস্পরকে বিশ্বাস করতে শিখে, এ ক্ষেত্রে তাদের দুজনকেই কিছুটা ঝুঁকি নিতে হয় ও পরস্পরের উপর নির্ভর করতে হয়।
৫। প্রচেষ্টাঃ নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, নির্ভরতা ও অন্তরঙ্গতা তৈরি করতে প্রয়োজন ক্রমাগত চেষ্টা। এই ক্রমাগত চেষ্টা হতে হবে নিজ সঙ্গীর প্রতি প্রতিনিয়ত ভালবাসা, শ্রদ্ধা, সমর্থন প্রদর্শনের মাধ্যমে।
এই পাঁচটি বিষয় বিশেষ করে ক্রমাগত প্রচেষ্টা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে এক বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, পরস্পরকে কাছে নিয়ে আসতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ একজন যদি অপর জনের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন না করে, তাকে কাছে আসার সুযোগ না দিয়ে ক্রমাগত দূরে ঠেলে দিতে থাকে, তাহলে অন্য জন কখনই তার সামনে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে না। সংকোচ বোধ করবে। একে অপরের ভালবাসা প্রকাশের ভাষাটা বুঝতে হবে। একজনের ভালবাসার ভাষা হয়তো নিজেদের মধ্যে সুন্দর সময় কাটানো, ঘুরে বেড়ানো। আরেকজনের ভালবাসার ভাষা হয়তো একটু ছুয়ে দেওয়া, কাছে আসার চেষ্টা করা। তাই একে-অপরের ভালবাসার ভাষাটা বোঝা খুবই জরুরি এবং একে অন্যের ভালবাসার ভাষা প্রকাশের সুযোগ দেওয়াটাও খুব জরুরি।
প্রত্যকে স্বামী-স্ত্রী যদি নিজেদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই পাঁচটি বিষয়ের উপর জোর দেয়, ক্রমাগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের মাঝে গড়ে উঠতে পারে গভীর ভালবাসা ও নির্ভরতার সম্পর্ক, অন্তরঙ্গতার সম্পর্ক।
Share on

Sunday, 1 September 2019

গবেষণা ও চিন্তাচর্চায় আল কোরআনের অনুপ্রেরণা সাজ্জাদ আকবর ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২০ | অনলাইন সংস্করণ

গবেষণা ও চিন্তাচর্চায় আল কোরআনের অনুপ্রেরণা

  সাজ্জাদ আকবর ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২০ | অনলাইন সংস্করণ


আল কোরআন।
ছবি: সংগৃহীত
‘তারা কি ভূপৃষ্ঠে ভ্রমণ করে না, যাতে তারা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতে পারে! বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে তাদের হৃদয়।’ (সূরা হজ : ৪৬)
‘তবে কি তারা লক্ষ্য করে না উটের প্রতি, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং আকাশের প্রতি, কীভাবে তাকে উঁচু করা হয়েছে এবং পাহাড়সমূহের প্রতি, কীভাবে তাকে প্রথিত করা হয়েছে এবং ভূমির প্রতি, কীভাবে তা বিছানো হয়েছে’। (সূরা গাশিয়া ১৭-২০)
এভাবেই আল কোরআনে গবেষণা ও চিন্তার চর্চার কথা বলা হয়েছে। ভাবনা, উপলব্ধি ও ইন্দ্রিয়শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘সৃষ্টি নিয়ে এক ঘণ্টা গবেষণা করা বছরের পর বছর ইবাদত করার চেয়ে বেশি মূল্যবান।’
পবিত্র কোরআনে ১০০ এরও বেশি আয়াতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে তারা যেন চিন্তা-ভাবনা করে, শোনে,মনোযোগ দেয়,তুলনা করে বা পরিমাপ করে,ভাবে,বুদ্ধি ও বিবেকের চর্চা করে এবং বিচার-বিবেচনা করে। সর্বোপরি মেধাকে যেন কাজে লাগায়।
বহু আয়াতের শেষাংশে এভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে: তোমরা কি চিন্তা করে দেখছো না? তোমরা কি তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না? তারা কি কোরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না?
তবে এভাবে জিজ্ঞাসা করার পাশাপাশি বহু জায়গায় বিশ্বের বিচিত্র অজানা রহস্য নিয়ে ভাবতে, গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা চিন্তাশক্তি, মেধা ও মননকে কাজে লাগায় না তাদের অন্ধ, বধির এমনকি চতুষ্পদ জন্তু কিংবা তাদের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে তিরস্কার করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের সূরা আরাফের ১৭৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: ‘আর এটি একটি অকাট্য সত্য যে,বহু জিন ও মানুষ এমন আছে যাদের আমি জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না। তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না। তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না। তারা পশুর মতো বরং তাদের চেয়েও অধম। তারা চরম গাফলতির মধ্যে হারিয়ে গেছে।’
এতকিছুর পরও যারা বিবেক-বুদ্ধি,মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে কোনো বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না,তাদের অকর্মণ্য, উপলব্ধিহীন, অসচেতন প্রাণী বলে তিরস্কার করেছে।
সূরা আনফালে বলা হয়েছে: ‘আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না,যারা বলে যে, আমরা শুনেছি,অথচ তারা শোনে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির,যারা উপলব্ধি করে না।’(সূরা আনফাল : ২১, ২২)
কোরআনের নির্দেশনা অমান্য করে যারা চিন্তারিক্ত হয়ে বসে থাকে, যারা নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি ও স্রষ্টার হাকিকত উপলব্ধি করার চেষ্টা করে না, কোরআন তাদের মনুষ্যত্বের মর্যাদা থেকেও বঞ্চিত করেছে। কারণ, মনুষ্যত্ব ও পশুত্বের পার্থক্যরেখা যে চিন্তাশক্তি তা না থাকলে মানবীয় মর্যাদাই তো বিলীন হয়ে যায়।
এ জন্য কোরআন মানুষের চিন্তাশক্তির প্রতিবন্ধক বিষয়গুলোও নিষিদ্ধ করেছে। পূর্বসূরিদের অন্ধ অনুসরণ, গোঁড়ামি, কূপমণ্ডুকতা পরিহার করে ইসলামের উদার চিন্তা দর্শনের চর্চা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানুষ জ্ঞান-গবেষণা, চিন্তা-ভাবনা, নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি ছাড়া একঘেঁয়ে হয়ে যায়। জীবনে তাদের কোনোরকম উন্নতি কিংবা পরিবর্তন আসে না। আর এই পরিস্থিতিতে অপরাপর সৃষ্টির সঙ্গে মানুষকে আলাদা ভাববার সুযোগ থাকে না।
অতএব মানুষের সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টির পার্থক্য হল, বৈজ্ঞানিক চিন্তা-ভাবনা এবং উদ্ভাবনী শক্তির মধ্যে। মানুষ নতুন নতুন সৃষ্টি করতে পারঙ্গম। আর এই উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর প্রণোদনা দেয়া হয়েছে হাদীসে। এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলে আকরাম (সা.) চেষ্টা করতেন পথচলার ক্ষেত্রে যে রাস্তা দিয়ে একবার গেছেন বিকল্প থাকলে সেই রাস্তায় না যেতে।
এর মানে হল মানুষের উচিত প্রতিদিনই নতুন নতুন পথের সন্ধান করা। একই পথ নিয়ে পড়ে না থাকা। দুটি পথ থাকলে তৃতীয় পথ কী করে তৈরি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। এই চিন্তাকে জাগানোর জন্যই বারবার আহ্বান করেছে কোরআন।
যারা বিবেকশাসিত চিন্তা করে, আর যারা করে না, যারা জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ভাবতে পারার ইতিবাচক পথকে অবলম্বন করে আর যারা করে না, যারা প্রজ্ঞা ও বিবেককে ব্যবহার করে আর যারা করে না, তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলছেন :‘বল, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? (সূরা : আনআম : ৫০ )
যারা সত্যের জন্য বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগায় না, কোনোরূপ চিন্তা করে না, গবেষণা করে না তাদের কোরআনে মূক, বধির, অন্ধ ইত্যাদি অভিধায় তিরস্কৃত করা হয়েছে। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'তারা কি কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (সূরা মুহাম্মদ : ২৪)
যুক্তি, বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধের প্রতি ইসলাম দিয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। দিয়েছে যথাযথ মর্যাদা। কোরআনের বহু আয়াতে আছে এর বর্ণনা। পবিত্র কালামে পাকের অমোঘ ঘোষণা- ‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রির আবর্তনের মধ্যে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ সবকিছু তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান ১৯০-৯১)
আয়াতে কারীমা স্পষ্ট করছে, সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ ও সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা ও গবেষণার কারণেই অন্যান্য সৃষ্টির ওপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। অতএব মহাগ্রন্থ আল কোরআন চিন্তা ও গবেষণায় বিবেকবোধকে কার্যকর করার পয়গাম দিয়েছে। অনুভব ও উপলব্ধিকে কাজে লাগাতে বলেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী! বলে দাও, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত ১০১)
প্রকৃতি নিয়ে, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে, মহাজাগতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভেবে না দেখাকে আল্লাহ তায়ালা তিরস্কার করেছেন। কোরআনের ঘোষণা- 'তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না, আল্লাহ আসমান ও জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুই যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রুম, আয়াত ৮)
তাই গবেষণা ও চিন্তাচর্চা ছাড়া ইহ বা পরকাল কোথাও সফলতার আশা করা যায় না। চিন্তার মুক্তি মানুষের সফলতার প্রধান অবলম্বন। গবেষণা ও চিন্তাশীলতা ছাড়া পৃথিবীর কোনো জাতি সমৃদ্ধ হতে পারেনি। চিন্তাগবেষণার কল্যাণে পৃথিবী আজ এতদূর অগ্রসর হতে পেরেছে। ইহলৌকিক পারলৌকিক সব দৃষ্টিতেই চিন্তাচর্চার বিকল্প নেই।
লেখক: অধ্যয়নরত, ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থট অ্যান্ড রিসার্চ, ঢাকা

Thursday, 8 August 2019

<amp-auto-ads type="adsense"
              data-ad-client="ca-pub-2984684791596053">
</amp-auto-ads>

Chowdhury,s

sons.

 

coxbd2011