ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ কমানোর সম্ভাব্য পদক্ষেপ
অনেক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর আংশিক বা পুরোপুরি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে স্থানান্তর করা যেতে পারে।
যেমন—শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামে, কৃষি মন্ত্রণালয় রাজশাহীতে, পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজারে সরানো হলে ঢাকায় প্রতিদিনের ভিড় কমবে।
আঞ্চলিক ব্যাংক ও কর্পোরেট কার্যক্রম বৃদ্ধি
ঢাকায় ব্যাংকের এত শাখার প্রয়োজন নেই। আঞ্চলিক পর্যায়ে শক্তিশালী শাখা তৈরি করতে হবে।
একইভাবে বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বড় কর্পোরেট অফিসগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবা
এখন অনেক কাজ ঘরে বসেই করা সম্ভব—অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফিনান্স, অনলাইন কোর্ট কেস ম্যানেজমেন্ট। এগুলো চালু হলে মানুষকে আর ঢাকায় যেতে হবে না।
সরকারি অফিসে ই-সেবা ও অনলাইন নথি জমা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণ
ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ কেবল ঢাকায় কেন থাকবে? প্রতিটি বিভাগে মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা গেলে অনেক মানুষ ঢাকায় না এসে স্থানীয়ভাবে সুযোগ পাবে।
পরিকল্পিত নগরায়ণ
চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী শহরকে ঢাকার বিকল্প হিসেবে উন্নত করতে হবে।
নতুন শিল্পাঞ্চল ও হাইটেক পার্ক বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে তুলতে হবে যাতে কর্মসংস্থানের কেন্দ্র ঢাকায় না থেকে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞ মত
একজন আর্থিক বিশ্লেষক বলবেন—ঢাকায় প্রতিদিনের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে জ্যাম ও জনসংখ্যার চাপে। বিকেন্দ্রীকরণ ও ডিজিটালাইজেশন করলে অর্থনীতি আরও টেকসই হবে। আর একজন নগর পরিকল্পনাবিদ বলবেন—ঢাকা বাঁচাতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে; নাহলে শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
আপনি চাইলে আমি এই বিষয় নিয়ে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ আকারে লিখে দিতে পারি। আপনি কি চান আমি সেটা তৈরি করি?